একযুগ পরে ঢাকায় পালন করা মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতে ইসলাম দাবি জানিয়েছে, দুই মাসের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সাথে আরো কিছু দাবিতে দুইটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ২৩শে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও পরবর্তী তিন মাসের বিভিন্ন বিভাগে সম্মেলন।
শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান।
২০১৩ সালের পাঁচই মে ঢাকার শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের পর এবারই ঢাকায় আবারো বড় আকারের জমায়েত করলো কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক এই সংগঠনটি।
দলটির নেতারা শাপলা চত্বরে ঘটনার পর সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
এই মহাসমাবেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন হেফাজত নেতারা।
সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, "আমাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের সময় দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। যদি মনে হয় সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না, তাহলে আঙ্গুল বাঁকা করতে হবে"।
সকাল নয়টায় কর্মসূচি শুরুর সময় থাকলেও ভোর থেকেই ঢাকার বাইরে থেকে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে যোগ দিতে আসেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন মাদ্রাসা শিক্র্থী শিশুকিশোর, যাদের বয়স ১২ থেকে ১৫ বছর। পুরো সমাবেশে কোনো নারীর উপস্থিতি দেখা যায়নি।
সকাল দশটার আগেই অনেকটা পূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশ প্রাঙ্গণ। যদিও অনেকেই পাশের রমনা পার্ক, মৎস্য ভবন মোড় ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের পাশে অবস্থান করেন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীরা বলেন, সরকার কোরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন করলে তারা সেটা যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবেন।
কওমিমাদ্রাসা ভিত্তিক এই সংগঠনের সমাবেশে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ অংশ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি অতি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।